বাড়িতে ছোট একটি বাগান করেছেন রাশেদুল ইসলাম সেখানে লাগিয়েছেন বিভিন্ন পরিচিত জাতের ফুলগাছ। সেই বাগানের একটি অপরিচিত গাছে ফুটেছে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া ফুল। সঠিক নাম বলতে পারলেন না তিনি তবে জানালেন ফুলটি নাকি রঙ বদলায়!
কাছে গিয়ে দেখি থোকায় থোকায় ফুল ফুটে আছে, কোনোটি মাত্র ফুটতে শুরু করেছে। গাছ জুড়ে ফোটা ও আধফোটা ফুলগুলোর রঙে কিছু পার্থক্য আছে। তবে ফুলগুলো গন্ধহীন। এধরনের ফুল প্রথম দেখছি তাই ছবি তুললাম ফুলসহ গাছটির।
ফুলের কয়েকটি ছবি কৃষিবিদ বিষান দাসকে দেখালে তিনি জানান, এই ফুলটির নাম হাইড্রেনজিয়া। এটি গুল্ম শ্রেণীর ফুলগাছ। বাংলাদেশে সচরাচর এই ফুলের গাছ দেখা যায় না।
হাইড্রেনজিয়া ফুলের গন্ধ নেই। তবে এর চমৎকার একটি বৈশিষ্ট্য হলো—ফুলটি রঙ বদলায়। ফোটার সময় গাঢ় হলুদ তারপর সাদা এবং শেষে নীলচে বেগুনি রঙ ধারণ করে ঝরে পড়ে।
হাইড্রেনজিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম Hydrangea macrophylla এবং এটি Hydrangeaceae পরিবারভুক্ত ফুল। এ ফুলগাছটি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। টবে এবং মাটিতে সরাসরি দু’ভাবেই চাষ করা যায়। ছায়াযুক্ত ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায়ও গাছটি বেঁচে থাকতে পারে।
এই ফুলের প্রায় ৮০টি জাত রয়েছে। শীত প্রধান এলাকায় বেশি জন্মে। এর মঞ্জরিগুলো গুচ্ছাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। ফুল আকারে বেশ বড় ও আয়তাকার দেখতে। পাপড়ির সংখ্যা চার বা ততোধিক, মসৃণ ও পুরু পাতা গোলাকার খসখসে।
চীন ও জাপান এই ফুলের আদি নিবাস। বাংলাদেশে সাধারণত সাদা নীলচে বেগুনি রঙের একটি জাত বেশি দেখা যায়।