বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী পালন করে পার্সিয়ান নববর্ষ বা নওরোজ৷ এবারও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে ইরাক ও তুরস্ক পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ দিবসটি পালন করেছেন মহাসমারোহে৷
পার্সিয়ান এই নববর্ষটি প্রায় জাতীয়ভাবেই পালন করা হয় ইরান, আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে৷ এছাড়া চীনে তাজিক ও তুর্কি জাতি, ভারতে পার্সি, পাকিস্তানে পশতুন ও বালোচ, রাশিয়ায় তাবাজারান ও ক্রিমিয়ান তাতার, ইরাকে কুর্দ ও তুর্কেমেন, সিরিয়ায় কুর্দ ও তুরস্কে আজারবাইজান, কুর্দ ও ইয়োরুক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই উৎসব পালন করে থাকেন৷
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নওরোজ যেন নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে৷নওরোজের সাজসজ্জায় বেলুন ব্যবহার করা হয়৷
বসন্তের রং কাবুলের শিশুদের মন ছুঁয়ে যায়৷ তাই তারা মেতে ওঠে নানা খেলায়৷
ইরাকের আকরায় পাহাড়ে আগুনের মশাল জ্বালিয়ে উদযাপন করা হয় নতুন বর্ষ৷ কুর্দিরা এই আগুন জ্বালিয়ে উৎসব পালন করেছে৷
আকরায় কুর্দিরা গুলি করে নওরোজ পালন করে৷
তুরস্কে শিশুরা নববর্ষ পালন করতে নতুন সাজে বের হয়৷
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে আগুন জ্বালিয়ে যুবকেরা স্বাগত জানায় নতুন বর্ষকে৷
নওরোজের মানে নতুন ঘাস, প্রকৃতিতে নতুন পল্লবের ছোঁয়া, রং ফিরে পাওয়া৷ আজারবাইজানের সেই প্রতীককেই তুলে ধরা হয়।
নওরোজে মুম্বাইয়ে পার্সিয়ান ভবনের দেয়ালের ভাস্কর্যগুলো দেখতে অনেক পর্যটকই সেখানে যান৷
লস অ্যাঞ্জেলসে গৃহহারা বা প্রায় গৃহহীন দরিদ্রদের জন্য এদিন খাবারের আয়োজন করা হয়৷ সেইসঙ্গে থাকে মনোরঞ্জনেরও ব্যবস্থা৷