শীতকাল ছাড়া প্রায় সব সিজনেই পুঁইশাক পাওয়া যায়। শাক জাতীয় তরকারি হিসেবে সবার পছন্দ পুঁইশাক। পুঁইশাক যেমন পুষ্টিকর তেমনি স্বাদেরও। আমাদের দেশে প্রায় সকল স্থানেই পুঁইশাকের চাষ করা হয়।
পুঁইশাক সাধারণত সব ধরনের মাটিতেই জন্মে থাকে। আমাদের দেশে দু‘ধরনের পুঁইশাক দেখা যায়, লাল ও সবুজ।
মুগদা-মান্ডা এলাকার গ্রীন মডেল টাউনের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। নির্মাণাধীন এই আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুঁইশাক আবাদ করে মনোয়ারা বেগম। এবারও তার জমিতে পুঁইশাকের দারুণ ফলন হয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বর্ষার পানি পেয়ে পুঁইশাক ডাটাগুলো বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠেছে সতেজ।
শাক উঠানোর সময় হওয়ায় শুক্রবার ভোরের আলোয় জমি থেকে পুঁইশাক কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মনোয়ারা।
পুঁইশাকগুলো কেটে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায় আলতাফ হোসেন ও মনোয়ারা।
স্ত্রীর কাটা শাকগুলো জমি থেকে তোলার পর ভ্যানগাড়িতে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বাজারে।
এ এলাকার অন্য বাসিন্দারাও পুঁইশাক চাষ করেন। দেখা গেল আলতাফ হোসেনের পাশের জমি থেকে শাক তুলে গামলা ভর্তি করে নিচ্ছেন আরেক কৃষক।
খুব ভোর থেকে কাজ শুরু হয় কৃষকদের। জমি থেকে শাক কেটে সেগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয় তারা। অনেকেই আবার ক্ষেত থেকেই পাইকারি দরে শাক বিক্রি করে দেয়।
সদ্য জমি থেকে তোলা সতেজ এই পুঁইশাকের স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদাও।