বাস্তুশাস্ত্র। ‘বাস্তু’ শব্দটি এসেছে ‘বস্তু’ থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বোঝায়, তা একটি স্থান হতে পারে কিংবা জমি বাড়িও হতে পারে। প্রায় ৫ হাজার বছর পুরনো হলেও বাস্তুবিদ্যা আজও প্রমানিত। বৈদিকযুগে মূলত ধর্মস্থান নির্মাণে এ বিদ্যা ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। বর্তমান ভারতে যেকোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মান হয় বাস্তুশাস্ত্রের উপর নির্ভর করে। বাস্তু শাস্ত্রর অপর একটি দিক হল ‘সময়’। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈদিকযুগে সুর্য়ের সময় অনুযায়ী, এ শাস্ত্র কাজে লাগানো হত। পরবর্তীতে যা ঘড়িতে বদল হয়।
ফলে ঘড়ির সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, জীবনের হিসাবটাও পাল্টে যেতে পারে। প্রয়োজন ঘড়ির কিছু পরিবর্তন। ভাগ্যের বদল নিজেই দেখতে পাবেন। সময় মিলিয়ে ঘড়ি সর্বদা সঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
অনেকেই ঘড়ির সময় একটু এগিয়ে রাখতে পছন্দ করেন অথবা ঘড়ি স্লো চললেও পরে ঠিক করে নেওয়া হবে, এই ভেবে ফেলে রাখেন। তবে সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখা হলে তা আপনার সৌভাগ্যের ওপর অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করে।
বাসায় অনেকেই পেন্ডুলাম লাগানো ঘড়ি রাখা অপছন্দ করেন। তবে পেন্ডুলাম যুক্ত ঘড়ি পরিবারের খারাপ সময় কাটিয়ে দেয়।
বেডরুম এবং কর্মস্থলে ঘড়ি উত্তরদিক মুখী করে রাখুন। এতে আর্থিক অপচয় কমবে। সেইসঙ্গে সঞ্চয়ও বৃদ্ধি পাবে।
বাসার ড্রইংরুম বা কর্মস্থলের গেস্টরুমে গোলাকৃতির ঘড়ি রাখুন। বাস্তুবিদ্যা মতে, এতে সুখ শান্তি বৃদ্ধি পায়।
অনেকেই মুল দরজা বা রুমের কোনও দরজার মাথায় ঘড়ি রাখতে পছন্দ করেন। এত আপনার পরিবার এবং কর্মস্থলের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই দরজার মাথায় কখনওই ঘড়ি রাখবেন না।
জীবন বা জীবিকায় নতুন কোনও সম্ভাবনার প্রত্যাশা করছেন। সেইক্ষেত্রে ঘড়ির দিক পরিবর্তন করুন। ঘড়ির মুখ পশ্চিম দিকে করে দিন, সুফল পাবেন।
কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহার করুন, এতে আপনার হারিয়ে যাওয়া সম্মান থেকে প্রতিপত্তি, অনেককিছু ফেরত পেতে পারেন।