জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

, প্রবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 05:10:59

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে যথাযথ মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরপরাধ বাঙালির উপর তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে মানব ইতিহাসের নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ২৫ মার্চের গণহত্যায় আত্মোৎসর্গকারী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া, কালরাতের নারকীয় গণহত্যার উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে গণহত্যা দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল বাঙ্গালির আপামর জনসাধারণের মুক্তি আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পূর্ব পরিকল্পিত নীল নকশার অংশ। এই গণহত্যা শুধু একটি রাতের হত্যাকাণ্ডই নয়, বরং তা ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র।”

তিনি দিবসটির ৫০ বছর পূর্তিতে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহবান জানান। 

পরিশেষে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সুইজারল্যান্ড সরকার কর্তৃক সকল প্রকার জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকায় অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর