বাহরাইনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন

, প্রবাসী

মানামা, বাহরাইন | 2023-08-30 02:18:46

বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ ‘ঐতিহাসিক ৭ই মাচ’ উদযাপন করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। অতঃপর, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐ ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র।

একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ আমাদের জাতির জন্য এক গর্বের বিষয়।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন, জাতির পিতা এই ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে প্রকারান্তরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের এই ভাষণে এমন কোন দিক বাকী নেই যা তিনি উল্লেখ করেননি। এ ভাষণই সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং তাঁরই দেখানো পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি বিশ্ববাসীকে বিষ্মিত করেছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শেষে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি সবাইকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনর বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর