যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ এবং জব প্লেসমেন্টের জন্য শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক এর সুপরিসর নিউইয়র্ক ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন।
রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে অ্যাস্টোরিয়ার ৩৬ স্টেশন সংলগ্ন সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনেস্ট্রেশন ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত এই নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন।
প্রায় ৬ হাজার স্কয়ার ফিটের এই সুসজ্জিত ক্যাম্পাসে এক সাথে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর হানিফ।
এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্ক কনস্যাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, পিপলএনটেক প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর হানিফ, প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিফ সহ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি এবং প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন প্রাক্কালে, প্রবাসী অভিবাসীদের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দানের এই প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগকে 'ম্যাজিক' সমপর্যায়ে উল্লেখ করে, এর প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফকে ভূয়সী প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। ড. মোমেন এর সম্মানার্থে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নামে আরও ১ লাখ ডোলার স্কলারশিপ এর ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য এর আগে গত বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক মিলিয়ন ডলার সমমানের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। যার অধীনে ভার্জিনিয়া আর নিউইয়র্ক সহ পিপলএনটেক এর ৮টি ক্যাম্পাসে বর্তমানে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
পিপলএনটেক এর মূল ক্যাম্পাসটি ভার্জিনিয়ার ফায়ারফ্যাক্সে অবস্থিত। এর আগে নিউইয়র্ক এর স্টাইনওয়ে’র একটি ভবনে নিউইয়র্ক ক্যাম্পাস এর কার্যক্রম চলছিল। এখন শিক্ষার্থীদের চাপে এবং আরও অধিক পরিমাণ শিক্ষার্থীদের এক সাথে প্রশিক্ষণ দানের জন্য এই সুবিশাল ক্যাম্পাস চালু হল, যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো ৭ এপ্রিল ২০১৯ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা অধিদফতরের সাথে নিবন্ধনকৃত একমাত্র বাংলাদেশি উদ্যোগের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে গত ১৫ বছরে প্রায় ৫৫০০ শিক্ষার্থীকে চাকরির সংস্থান করেছে। যাদের প্রত্যেকেই ৮০ হাজার থেকে ২২০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করছেন প্রতি বছর। এর বাইরে, বাংলাদেশে গ্রিনরোড আর ধানমণ্ডি ক্যাম্পাসেও প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাস রয়েছে, যেখান থেকে ডিগ্রি নিয়ে, মাসে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন মেধাবী পিপলএনটেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই।
বিস্তারিত জানতে এবং ড. মোমেন স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে www.piit.us এই ওয়েব সাইটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।