মালয়েশিয়ায় প্রবেশে কড়াকড়ি, ৩১৫৫ বাংলাদেশিকে ফেরত

, প্রবাসী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 14:45:55

চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ ৩ হাজার ১৫৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঘুরতে যাওয়া ওই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এনটিএল (নট টু ল্যান্ড) বিধান কার্যকর করা হয়।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল জায়মি দাউদ বলেছেন, ভিসা পাওয়া মানেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া নয়। আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায়।

তিনি জানান, মোট ৪৪ হাজার ৯৪১ জন বিদেশিকে এনটিএল-এর বিধানের অধীনে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার ৬৭৬ জন, ভারতের ৬ হাজার ৩৯৮ জন, চায়নার ৪ হাজার ৭৯৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ১৫৫ জন, মিয়ানমারের ২ হাজার ৪৪৫ জন। বাকিরা অন্যান্য দেশের।

খায়রুল জায়মি আরও জানান, কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা গত আগস্টে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছিল। ওই সময়েও ৩৬৫ বিদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর আরও বেশি কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকে আরও বেশি নিরাপদ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মালয়েশীয় ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক বলেন, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয়। যেসব বিদেশিকে সন্দেহ করা হবে বা দেশে প্রবেশের নিয়মগুলো সর্ম্পকে অবহিত থাকবে না বা দুর্বলতা থাকবে, তারা এ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, একজন বিদেশি দর্শনার্থীর যদি ভিসা থাকে এবং সব তথ্যও থাকে তারপরও তাকে ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বিদেশি অতিথিদের অবশ্যই দেশের নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনার যাচাই প্রক্রিয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা না হলে এনটিএল-এর বিধানের অধীনে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার ফিরতি বিমান টিকিট, অবস্থান করার হোটেল বুকিং, মেয়াদসহ ভিসা এবং বৈধ পাসপোর্ট এবং অর্থনৈতিক অবস্থার প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়া কালো তালিকাভুক্ত হলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

খায়রুল জায়মি বলেন, মালয়েশিয়ার প্রবেশ পথগুলোতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০২০ সালের প্রথম দিন থেকে আরও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন বসানো হবে। এছাড়াও চুরি যাওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া পণ্য খুঁজে পেতেও ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হবে এবং ডাটাবেজ আপডেট করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর