হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও মুক্তি মেলেনি ২ বাংলাদেশির

, প্রবাসী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 17:05:51

হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েও মুক্তি মিললো না মালয়েশিয়া প্রবাসী দুই বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের। মিয়ানমারের এক নাগরিককে হত্যার দায়ে ২০১৬ সালে তাদের আটক করা হয়।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দেশটির উচ্চ আদালতে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস দেওয়া হয়। আদালতের এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের ভাই।

বিচারক দাতুক আখতার তাহির বলেন, ৩৬ বছর বয়সী মো. দেলোয়ার হোসেন এবং বরুণ সূত্রধরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। এই মামলার ক্ষেত্রে সময় হয়ে উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে রাত ১১টায় এই হত্যা সংঘটিত হয়। এরপর ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটরের অনুরোধে এই সময় রাত ১২টা ৪৫ নির্ধারিত হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির ভাই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানিয়েছিলেন রাত ৯টার দিকে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। সাক্ষ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলে তিনি সূর্যাস্তের পরপরই যান এবং তখনই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় রাত দেড়টায়।

বিচারক আখতার বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীকে রাগে অন্ধ মনে হয়েছে। তিনি একজন মিয়ানমারের নাগরিক এবং বাংলাদেশিদের ওপর বেশ রাগান্বিত। তিনি নিজ ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কারো শাস্তি চাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন রাত ৯টার আগে হত্যাতাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এবং কয়েক ঘণ্টা তিনি মরদেহ নিয়ে বসেছিলেন। এই গল্প বিশ্বাসযোগ্য নয়।

বিচারক বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন সেখানে দুটি ঘটনা ঘটেছিল। রাত ৯টার দিকে একটি মারামারি হয় এবং রাত দেড়টায় খুন হয়। যখন ময়নাতদন্ত হচ্ছিল মৃতের ভাইকে ডাকা হয়নি। অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, প্রত্যক্ষদর্শী যে মৃতের ভাই সেটি তিনি জানতেন না। ফলে এই পরিচয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

জর্জটাউনের পায়া তেরুবংয়ের ম্যাজেস্টিক হাইটের একটি ফ্ল্যাটে মিয়ানমারের নাগরিক মোহা. ইসহাক কবির আহমেদকে হত্যার দায়ে ২০১৬ সালের ১৩ জুন দেলোয়ার এবং বরুণের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় বিচার করা হয়। ওই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

মামলায় খালাস পাওয়ার পর দেলোয়ার এবং বরুণ দ্রুত আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়তে চাইলেও তাদের আবারও আটক করা হয় দেশটিতে অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে। এখন তাদের এ বিষয়টি তদন্ত করবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর