ইতালিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

, প্রবাসী

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 22:47:24

বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম, ইতালির আয়োজনে বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে দূতাবাস ভবনের প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে মান্যবর রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পরপরই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।এসময় ৫০টিরও বেশি সংগঠনের বহু প্রবাসী বাংলাদেশী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় একুশের কালজয়ী গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি' গাওয়ার মধ্য দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির রাত ১ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মর্মস্পর্শী দেশাত্মবোধক গানও পরিবেশন করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।

বক্তব্য রাখছেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত হয় 'সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' এবং এ আন্দোলনের জন্য তাকে কারাভোগও করতে হয়েছে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। সেদিন শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ নাম না জানা অনেক ভাষা সৈনিক।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ তারিখে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাভাষাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেন। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, ভাষা আন্দোলনই ছিল বাঙালির রাজনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের সূতিকাগার। একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করি। ১৯৭১ সালে অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ বিজয় অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, এবছর আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় দেশে ও বিদেশে উদযাপন করছি। এ মহান নেতার জীবনাদর্শ ও আমাদের স্বাধীনতার জন্য তার অবদান নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরাই জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের মূল লক্ষ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর