বাংলাদেশ থেকে স্পেন প্রবাসীদের পাঠাতে বিশেষ ফ্লাইটের উদ্যোগ
করোনা সংকটের কারণে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীদের স্পেনে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পর বাংলাদেশ দূতাবাস এ উদ্যোগ নিয়েছে।
স্পেনে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি, যারা দুই দেশে জরুরি রাষ্ট্রীয় সতর্কতা ঘোষণার আগে বাংলাদেশে সফর করেছিলেন এবং বর্তমানে চলমান লকডাউনে বাংলাদেশ থেকে স্পেনে ফেরত আসতে পারছেন না, তাদের একটি বিশেষ চার্টার ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন প্রবাসীদের অনুরোধে গত ১৫ মে ‘স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব’ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ প্রধান এম হারুন আল রাশিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, দূতাবাস বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে ১৭ মে স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্পেনে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া বিষয়ক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্পেনে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের চার্টার ফ্লাইটের খরচ বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন অথবা সর্বোচ্চ দু’জন প্রতিনিধি কিংবা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
সেই ফোকাল পয়েন্টের কন্টাক্ট ইনফরমেশন (মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, স্প্যানিশ রেসিডেন্ট কার্ড নম্বর) দূতাবাসের ইমেইলে (bdembm01@gmail.com) পাঠাতে হবে। দূতাবাস ফোকাল পয়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবে। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে ফোকাল পয়েন্ট অথবা প্রতিনিধিকে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
হারুন আল রাশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র বিভিন্ন অনুমোদনের দায়িত্ব নেবে। চার্টার ফ্লাইটের মূল্য প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে আলোচনা করে ঠিক করবেন, কি প্রক্রিয়ায় ফ্লাইট ভাড়া পরিশোধ করা হবে। দেশে অবস্থানরত সব স্পেন প্রবাসীর প্রতিনিধি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। প্রতিনিধি কর্তৃক কেউ প্রতারিত হলে তার দায়িত্ব দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় নেবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
লকডাউন চলাকালে বাংলাদেশ থেকে আসা চার্টার ফ্লাইটকে মাদ্রিদে অবতরণ করতে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে দূতাবাস কাজ করছে। স্পেন সরকার কর্তৃক যদি অনুমোদন দেওয়া হয়, তখন এটা কার্যকর হবে। নতুবা চার্টার ফ্লাইটে স্পেন আসার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে যেহেতু এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তাই অগ্রিম এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হারুন আল রশিদ।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রকোপে বাংলাদেশও লকডাউনের আওতায় থাকায় বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীরা স্পেনে ফিরতে পারছেন না। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে প্লেন চলাচলও শুরু হয়নি। এ অবস্থায় বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।