নভেম্বরের নির্বাচনে বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রগুলি কাজ করবে না: ইউইসি

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 17:21:57

মিয়ানমারের ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইউইসি) দেশটির সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে।

দেশটির নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ৮ই নভেম্বর নির্বাচনের জন্য দ্বন্দ্ব-বিধ্বস্ত রাখাইনে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা অর্ধশতাধিক পোলিং স্টেশন আর চলবে না, কারণ রাজ্যের অংশগুলি ভোটদানের পক্ষে খুব অস্থিতিশীল।

এই রাজ্যের বেশিরভাগ সংসদীয় আসন রাখাইন জাতীয়তাবাদী মায়ানমারের নেতাকর্মী নেত্রী অং সান সু চির বিরোধীদের হাতে রয়েছে, আর এ বছর এই জাতিগত বিদ্রোহ ঘিরে রয়েছে।

গণতন্ত্রের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ জানিয়েছে, বুধবার প্রচার চলাকালীন রাখাইন থেকে এর তিন প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এবং আরাকান সেনা বিদ্রোহীরা কোনও বিবৃতি দেয়নি।

শুক্রবার কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছু অঞ্চল ‘‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অবস্থানে নেই।’’

বিবৃতি অনুসারে রাখাইনের ১৭টি জনপদের নয়টিতে ভোট হবে না, অন্য চারটিতে ন্যূনতম ভোটগ্রহণ হবে।

তবে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র বাতিল হওয়ার অর্থ কী হবে সে সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেয়নি সরকার।

মিয়ানমারে বহু বছর পর ২০১৫ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী অং সান সু চি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন।

এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে কয়েক দশকের জান্তা শাসনের অবসান ঘটে। নতুন পার্লামেন্ট অধিবেশনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।

কিন্তু ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে পালানোর ঘটনায় সু চির প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক চাপে পড়েছে।

সংবিধানের আওতায় মিয়ানমারে এখনো সেনাবাহিনীর হাত শক্তিশালী। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আছে। তাছাড়া, পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনও সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যায় অভিযুক্ত নিজ দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলেন তিনি।

মিয়ানমারে এখনো সমান জনপ্রিয় সু চি। তার সরকার আকাশচুম্বী প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে সংখ্যালঘুদের পক্ষে কাজ না করায় তিনি কিছু আসন হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর