বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের মৈত্রী

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

ড. মাহফুজ  পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-17 07:44:48

রক্ষণশীল ইসরায়েলি মিডিয়ায় আরব বিশ্বের খবর থাকে খুব কমই। ইহুদি পাঠকদের চাহিদা ও রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে আরব দেশগুলোর নেতিবাচক খবরগুলো প্রকাশিত হলেও ভালো খবর মোটেও জায়গা পায় না। ব্যতিক্রম দেখা গেলো সোমবার (১৯ অক্টোবর)। চতুর্থ আরব রাষ্ট্র বাইরাইনের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনের খবরে ভেসে গেছে ইসরায়েলের প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়া।

আগের দিন রোববার (১৮ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন। তারও আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসে দেশ দুটি সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছিল। বাহরাইনের রাজধানী মানামায় রোববার উভয় দেশ এ নিয়ে সমঝোতা স্মারকসহ আটটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সই করেছে, যাতে শান্তি, যোগাযোগ, ব্যবসা ইত্যাদি বহুবিধ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চুক্তিতে ইসরায়েলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন সাবাথ এবং বাহরাইনের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন রাশিদ আল জায়াইনি। মাঝখানে দাঁড়িয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের যাবতীয় কার্যক্রম নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভ মুনচিন।

বাহরাইনের রাজধানী মানামা থেকে এএফপি'র স্টাফ ফটোগ্রাফার রোনেন জিভিলানের পাঠানো মার্কিন দূতের উপস্থিতিতে উভয় দেশের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ছবিকে শীর্ষ সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করে ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো শিরোনাম দিয়েছে 'আমরা এখন একই পরিবারের সদস্য'।

চুক্তি শেষে উভয় দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে একযোগে কাজ করবো। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের পারস্পরিক বৈরিতা থাকবে না। আমরা কোনো তৃতীয় পক্ষকেও আমাদের সম্পর্ক বিঘ্নিত করতে বা বৈরিতা করতে দেবো না। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।'

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং জর্ডানের পরে বাহরাইন এখন চতুর্থ আরব দেশ, যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলো। ফিলিস্তিনিরা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলছে, 'এটা পিঠে ছুরি মারার শামিল।'

উল্লেখ্য, চুক্তি অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে দুই দেশেই দূতাবাস খোলার কথা রয়েছে। তবে চুক্তির কোথাও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সঙ্কট নিয়ে কিছুর উল্লেখ নেই। নেই চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন রক্তাক্ত সংষর্ষ নিরসনের কোন রূপরেখা এবং ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক অধিকারের কোনো স্বীকৃতি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর