অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম সিডনিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবাহ হাফিজ (২৩) নামে এক উঠতি মডেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তরুণীর মরদেহ ১৪ অক্টোবর সকালে সিডনির ওয়েন্টওর্থভিলের লেন স্ট্রিটের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ২৩ বছর বয়সী সাবাহ হাফিজ একজন উঠতি মডেল ছিলেন।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় তার অস্ট্রেলীয় স্বামী ২৪ বছর বয়সী অ্যাডাম কিউরটনকে বৃহস্পতিবার মারৌব্রার অ্যাস্টারি কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাত প্রায় দুইটা নাগাদ পুলিশের জরুরি সেবায় কল করেন জ্যাক উইলসন নামের এক ব্যক্তি। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই জ্যাক সাবাহর বাসায় যান। পুলিশ সাবাহকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তরুণীর বাবা জানান, আমার সঙ্গে কখনও অ্যাডামের সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আমি মনে করি, এই জুটি কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিল। মডেল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন সাবাহ। শোবিজে কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সাইমন গ্লাসার জানিয়েছেন, হত্যার আগে সাবাহকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলে প্রমাণ রয়েছে, তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমরা চৌকস পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, সাবাহর বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সোহান হাফিজের আদিবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহে। অস্ট্রেলিয়া অভিবাসনের আগে তাঁরা রাজধানীর ঝিগাতলায় বসবাস করতেন। তবে তার মেয়ের জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। প্রায় ৪৩ বছর আগে সোহান হাফিজে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। সিডনির ওয়েন্টওর্থভিলের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই বহু বছর ধরে বাস করছিল তাঁদের পরিবার। পরে অ্যাডামের সঙ্গে প্রণয় ঘটলে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গেই বসবাস শুরু করেন সাবাহ। কিন্তু পরিবার এই বিয়েসংক্রান্ত কিছুই জানত না।
আজ মঙ্গলবার সাবাহর জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়েছে সিডনির রুকউড কবরস্থানে।