করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছায়া পড়েছে ইউরোপে। দেশে দেশে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতা। চারিদিকে নেমে এসেছে শুনশান নীরবতা। দোকানপাট, মার্কেট, পাবলিক প্লেস বন্ধ করে ঘরে ফিরছেন লোকজন।
আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, চেক রিপাবলিক এবং আরো অনেক দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কঠোর সঙ্গরোধ ও সামাজিক দূরত্ব পালনের জন্য। মাস্কের ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আটলান্টিকের অন্য তীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানেও নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। তৈরি রাখা হয়েছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
লকডাডন, কারফিউ, উৎসব নিষিদ্ধকরণ, জনসমাবেশ সীমিত ও স্বাস্থ্য বিধির কঠোরতা ইউরোপ ও আমেরিকায় নতুন করে ভীতি সঞ্চারিত করেছ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছাপ পড়েছে সমাজের সর্বত্র। আসন্ন ক্রিসমাসের প্রাক্কালে ব্যবসা-বাণিজ্যেও ভাটা দেখা দিয়েছে। এসোসিয়েট প্রেস তাদের এ সংক্রান্ত এক রিপোর্টে দোকান বন্ধের হিড়িকের শীতল ও নীরব আলোকচিত্র দিয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগজনক এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৃটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। তিনি বলেছেন, করোনার টিকা এলেও এই ভাইরাসকে পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে বলে মনে হয় না। অন্য সব সিজনাল ফ্লুর মতো থেকে যেতে পারে এই ভাইরাস। তিনি জয়েন্ট কমন্স এন্ড লর্ডস ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি কমিটির কাছে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এসব কথা বলেছেন।