বিরোধিতা করায় ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে একেক পর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করছেন মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারের পর তার ক্ষোভের মুখে পড়লেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিআইএসএ) প্রধান ক্রিস ক্রেবস।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প।
এর আগে সিআইএসএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৩ নভেম্বরের নির্বাচন আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোট গণনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন। আর এ কারণেই সিআইএসএ’র প্রধান ক্রেবসকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প।
গত ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, নির্বাচন নিয়ে ‘অত্যন্ত অসত্য’ মন্তব্য করায় সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবারও ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন।
বিবিসি’র প্রতিবেদন জানায়, ধারণা করা হচ্ছে-ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট অফিস ছাড়ার আগে সিআইএর পরিচালক জিনা হাস্পেল এবং এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ারকেও বরখাস্তের তালিকায় ফেলতে পারেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সাথে মিটিং করেছেন। সভাটি হয়েছে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে।
জো বাইডেন নিজেই তার পোর্টালে ছবিসহ এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেছেন, 'আমি ও কমলা হ্যারিস জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের সাথে সভা করেছি। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়েও আমরা কথা বলেছি।'