মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনে (এফডিএ) এবং ইউরোপে কোভিড-১৯ টিকার নিয়ন্ত্রক ছাড়পত্র চেয়ে সোমবার (৩০ নভেম্বর) আবেদন করবে দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডার্না।
বছরের শেষ হওয়ার আগে দুটি করোনা টিকার এমন অগ্রগিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এমআরএনএ টিকার পরীক্ষার ডেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন যে এটি নিরাপদ এবং কার্যকর কিনা।
নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মডার্না ইনকর্পোরেশন দাবি করে তাদের টিকা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দিতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।
ওই সময় কোম্পানিটি দাবি করে, চূড়ান্ত পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষকে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এতে এখন পর্যন্ত অসুস্থতা বা শারীরিক কোনও জটিলতার খবর পাওয়া যায়নি। কেউ গুরুতর অসুস্থ হননি। মর্ডানার ভ্যাকসিনের কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে যাদের ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন শরীরে ব্যথা এবং মাথা ব্যথার মতো উৎসর্গ অনুভব করেছে।
মডার্নার প্রধান নির্বাহী স্টাফেন ব্যানসেল এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, করোনা মহামারির গতিপথ পরিবর্তনে আমাদের টিকা নতুন এবং শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
দিন দশেক আগে ফাইজার ও তাদের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক টিকার নিয়ন্ত্রক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে। এদিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এফডিএ টিকার অনুমোদনে দিতে পারে।
গত সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের তৈরি টিকার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। পরে অবশ্য তারা প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল বলে জানায়। তাদের টিকা আরও পর্যালোচনার উদ্যোগ নেয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড টিকার ভ্যাকসিনটি অনিরাপদ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানায় তারা।