যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারীদের একটি আইডি কার্ড দেওয়া হবে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) এই কার্ডের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কার্ডটি টিকা গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে সব সময় কার্ডটি সঙ্গে রাখার জন্য। তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভ্যাকসিন আইডি কার্ডকে অনেকেই ইমিউনিটি পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং এতে করে যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেননি তারা বৈষম্যের শিকার হবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কার্ডটিতে ভ্যাকসিনটির বিস্তারিত তথ্য, ব্যাচ নম্বর ও তা গ্রহণের তারিখ লেখা থাকবে। এতে দ্বিতীয় আরেকটি তারিখের স্থান রয়েছে। যে তারিখে ফাইজার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, কার্ডটি নেওয়া আবশ্যক কিনা এবং তা ইমিউনিটি পাসপোর্টের অংশ কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রি মাইকেল গোব জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট প্রণয়নের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে অনেকেই বাদ পড়বেন। কারণ মাত্র ৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) প্রধান নির্বাহী ক্রিস হপসন জানিয়েছেন আগামী মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।