ফাইজার-বায়োএনটেকের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ শুরু করেছে ব্রিটেন। এছাড়াও টিকা প্রয়োগে প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকে দেশ। এবার সেই পথে হাঁটলো কানাডা।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকা প্রদান কর্মসূচি চালু হতে যাচ্ছে। করোনার এই প্রতিষেধক টিকা স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা ছাড়াও জরুরি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে।
টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ডেটা দুই মাস পর্যালোচনা করেছেন কানাডার বিজ্ঞানীরা। এরপরই দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এই অনুমোদনের ঘোষণা দেয়।
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজকে কানাডা করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে পৌঁছেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রথম করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই টিকার কার্যকারিতা প্রায় ৯৫ শতাংশ। টিকাটি নেওয়ার ফলে স্বেচ্ছাসেবকদের কোন সমস্যা ও সুরক্ষাজনিত জটিলতা তৈরি হয়নি। এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কানাডায় টিকাটির ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
এর আগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এ বছরের শেষে ২ লাখ ৪৯ হাজার টিকার ডোজ কানাডা হাতে পাবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই টিকার ডোজগুলো দেওয়া হবে।
তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কানাডার অধিকাংশ নাগরিক টিকা প্রদান কর্মসূচির আওতায় আসবে।
কানাডা তৃতীয় দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল। এর আগে যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রয়োগ শুরু করেছে।