ফাইজার–বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে করে এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বব্যাপী আমদানি ও বিতরণের পথ সুগম হলো।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এই অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ২ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাজ্যের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে গত ৪ ডিসেম্বর এই টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন।
এরই মধ্যে এই টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের উদ্ভাবিত কোভিড টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এক বছর আগে চীনে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তখন ফাইজার–বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনটি প্রথম ‘জরুরি বৈধতা’ পেয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী আমদানি ও বিতরণে নিশ্চিত করার পক্ষে এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক মারিয়ানাগেলা সিমাও।
তবে সর্বত্র অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনগণের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য আরও বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে চাই বলে তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ামকদের ভ্যাকসিনের আমদানি ও বিতরণে অনুমোদনের পথ উন্মুক্ত হলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক শাখা প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও) দেশগুলির করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োজন তাদের জন্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে।
ডব্লিউএইচও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ডেটা পর্যালোচনা করার জন্য তার নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের এনে পরীক্ষা করিয়েছে। পর্যালোচনাতে দেখা গেছে ডব্লিউএইচও দ্বারা নির্ধারিত সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার জন্য এই ভ্যাকসিন অবশ্যই প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করেছে এবং কোভিড -১৯ সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের সুবিধা কী হবে, এতে বলা হয়েছে।