ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে নিষিদ্ধ ট্রাম্প

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-15 01:58:12

জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকছে। এজন্য কমপক্ষে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য এ সিদ্ধান্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ একথা বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই সময়ে প্রেসিডেন্টকে (ট্রাম্প) আমাদের সেবা ব্যবহার করতে দেয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই আমরা তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জারি করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্তত পক্ষে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর শেষ না হওয়ার আগের দুই সপ্তাহ এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’

এর আগে আরেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য ব্লক করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ১২ ঘণ্টা পর তার অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে।

টুইটার হুঁশিয়ার করে দিয়ে জানিয়েছিল, নিয়ম লঙ্ঘন করলে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো ভুল তথ্য দিলে তাকে স্থায়ীভাবে ব্লক করে দেয়া হবে। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট মুছে ফেলে টুইটার।

আগামী ২০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা ট্রাম্পের।

জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দিতে বুধবার কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক মিথ্যা পোস্ট দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। পোস্ট করেন একটি ভিডিও ক্লিপ। এসব পোস্টে ট্রাম্পের দাবি, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তার কাছ থেকে জয় চুরি করে নিয়েছে জো বাইডেন। তবে সেই বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব সরিয়ে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আসছিলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকরা।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিও জানান। তবে ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব মাঝে মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর