ফাইজারের করোনাভাইরাস টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানো পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিত্সকরা ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার।
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) রোগীকে দেওয়া দুই ডোজের গ্যাপ ১২ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে ৬ সপ্তাহ করার পরামর্শ করেছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সুপারিশ করেছে ফাইজারের টিকার দুই ডোজের ব্যবধান সর্বোচ্চ ৬ সপ্তাহের হওয়া উচিত। তবে যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে ফাইজারের প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ করেছে। যদিও ফাইজার তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে ২১ দিনের ভেতরে টিকার দুই ডোজ দিয়ে।
যুক্তরাজ্যের হাউজিং সেক্রেটারি রবার্ট জেন্রিক সরকারের কৌশলকে সমর্থন করেন। তবে তিনি বলেন, মন্ত্রীরা বিশেষজ্ঞদের ‘পরামর্শ’ সুনির্দষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিএমএ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান চাঁদ নাগপল স্কাই নিউজকে জানিয়েছন, আমরা চিকিৎসকদের পরামর্শের কথা বিবেচনা করব। এই বিষয়ে প্রধান মেডিকেল অফিসারের সাথে আলোচনায় বসতে চাই।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও’র পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ছয় সপ্তাহের ব্যবধান করলেও এখনও অনেক মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চিফ মেডিকেল অফিসারকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলাম। কারণ যুক্তরাজ্য ছাড়া কোনো দেশই দুই ডোজের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ করেনি।
ফাইজারের পরামর্শ ছিল ৩ সপ্তাহের মধ্যে ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি ৬ সপ্তাহের ব্যবধানে দেই তাহলেও অনেক মানুষ টিকা দিতে পারব বলে জানান নাগপল।
বিএমএর জিপি কমিটির সভাপতি রিচার্ড বাউত্রে জানিয়েছেন, বিএমএ ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসার অধ্যাপক ক্রিস হুইটির সাথে কথা বলছে। তবে তারা চান যুক্তরাজ্যের টিকা কর্মসূচির সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এ পরামর্শ বিবেচনা করতে।।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসেনর প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
বাউত্রে আরও জানান, যুক্তরাজ্য সরকার টিকা প্রদান কর্মসূচিতে যত মানুষকে দেয়ার টার্গেট করছে বিএমএ তা সমর্থন করে। তবে আমাদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে যতটা সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপটি নিতে হবে।