তৃতীয় দিনের মতো মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেছে । এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) এই বিক্ষোভে বৌদ্ধভিক্ষুরাও যোগ দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা সেনাশাসনের অবসানের পাশাপাশি দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দাবি করছেন। এক দশকেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারে এটি বৃহত্তম প্রতিবাদ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নানা ধরনের লেখা সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। এসব ব্যানার-প্ল্যাকার্ড লেখা রয়েছে ‘আমাদের নেতাদের মুক্তি দাও’, ‘আমাদের ভোটারদের সম্মান দেখাও’, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করো’, ‘সেনা অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করো’, ‘স্বৈরতন্ত্রকে “না” বলো’ প্রভৃতি।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তারা লাল রঙের পোশাক পরে আন্দোলন করছেন। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার রং লাল।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার বহন করতে দেখা গেছে। একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘ভোটারদের সম্মান কর’।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে।
অভ্যুত্থানের দিন স্টেট কাউন্সেলর সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বন্দী করা হয়। এঘটনায় আটক করা হয়েছে আরও অনেককে।