অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। টিকাটির দুই ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বিরতি নেওয়ার কথা বলছে সংস্থাটি।
সেইসঙ্গে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোতেও টিকাটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের করোনা টিকার অনুমোদন দিয়ে ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা অ্যাস্ট্রাজেনিকা-এসকেবিও (কোরিয়া) এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত টিকারও অনুমোদন দিয়েছে।
অক্সফোর্ডের টিকাটি তালিকারভুক্তির কয়েকদিন আগে ডব্লিউএইচ ‘র বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানিয়েছে, ৮-১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দুইটি ডোজ নিলে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে ও বেশি সুরক্ষা পাওয়া যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে। তাই এই টিকা ব্যবহার করা উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোতেও এই টিকা ব্যবহার করা যাবে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, আমাদের কিছু জায়গায় দ্রুত টিকা বিতরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন আরও বাড়ানো দরকার।
করোনাভাইরাসের তাৎক্ষণিক তথ্য হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ লাখ ১৮ হাজার ২৫০ জনের।