বাহ্যিক চাপ প্রয়োগ করে ইরানে ক্ষমতার পালাবদল করার পক্ষে মত দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক।
আল-জাজিরা’র খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-এর সাথে আলাপকালে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের ইরানের সরকার উৎখাতের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নিজের ইচ্ছায় সরকারে পরিবর্তন ঘটাতে রাজি নয়।’
নিউইয়র্কে ইরানের পারমাণবিক শক্তি বিরোধী জোট, ইউএএনআই-এর সম্মেলনে জুবায়ের বলেন, ‘যতক্ষণ না অভ্যন্তরীণভাবে প্রবল চাপের মুখোমুখি হবে, আমি বিশ্বাস করি না তাঁরা সোজা পথে আসবে।’ ইরানের সাথে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির বিরোধীদের জোট হচ্ছে ইউএএনআই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্যা ন্যাশনাল পত্রিকার উল্লেখ করে জুবায়ের বলেন, ‘যে রাষ্ট্রটি আমাদের হত্যা করতে চায়, আমরা কীভাবে তার সাথে সমঝোতা করতে পারি।’
ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানায় সৌদি ও আমিরাতের কর্মকর্তারা। ২০১৫ সালের এই চুক্তির শর্তানুসারে অবরোধ তুলে নেওয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজি হয়েছিল ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল-ওতাইবা বলেন, ‘ইরানে পরিবর্তন আনার জন্য বাহ্যিক চাপ দরকার এবং তাই হবে মূল শক্তি।’
ইউসুফ আল-ওতাইবা বলেন, ‘আমি মনে করি বাহ্যিক নিয়মেই ইরানের বৈদেশিক নীতিতে ক্রমাঙ্কন আসবে।’ এই সময় তিনি তেহরানকে একঘরে করতে ইউরোপের পরাশক্তি, এশিয়ান দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আশা করেন।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে যদি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, তবে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে এবং আমরা কীভাবে এ থেকে রক্ষা পাব?’
‘আমি এটি আনুমানিকভাবে জানতে চাচ্ছি কিন্তু আসলেই এটি আনুমানিক নয়। উপসাগরীয় দেশগুলো, ইসরায়েল ও এর আশেপাশের দেশগুলো আশু ঝুঁকিতে আছে।’
ইয়েমেনে ইরান তার কর্তৃত্ব ধরে রাখছিল অভিযোগ এনে ওতাইবা বলেন, ‘সম্প্রতি জাতিসংঘ পরিচালিত শান্তি আলোচনা সম্ভবত হুতিদের নেতৃত্ব দেওয়ায় ইরানের ভূমিকা প্রকাশ করেছে।’
জেনেভায় ব্যর্থ শান্তি আলোচনার জন্য ইরানকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘লেবাননে যা ঘটেছিল ইয়েমেনে তা ঘটে না। তা নিশ্চিত করতে আমাদের কায়েমী স্বার্থ আছে।’