‘ইমরান আসার পর পাকিস্তান আরও আক্রমণাত্মক’: বিএসএফ প্রধান

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 20:41:55

ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক কে কে শর্মা বলেছেন, ‘ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে।' কিছুদিনের মধ্যে অবসর নিতে যাওয়া এই কর্মকর্তা গত শুক্রবার এসব কথা বলেন।

১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সীমান সংলগ্ন রামগড়ে বিএসএফের হেড কনস্টেবল নরেন্দর সিংহকে নৃশংসভাবে হত্যার উল্লেখ করে কে কে শর্মা বলেন, ‘ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার পরেই এ ঘটনা ঘটে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে পাকিস্তান সীমান্ত বাহিনীর কাজ বলে অভিহিত করেন।

বিএসএফ প্রধান বলেন, ‘সীমান্তে কিছুই পরিবর্তিত হয়নি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমান্তে আমরা বিএটি কার্যক্রমের মুখোমুখি হচ্ছি যা আগে কখনও ঘটেনি। সাধারণত লাইন অব কন্ট্রোলে বিএটি কার্যক্রম ঘটে। আগের তুলনায় সীমান্তের অপর পাশে আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান চোখে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘এই ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। সাধারণত যখনই আমাদের বাহিনী এই ধরণের কাজ করে তখনই অপর পাশ থেকে বাধা আসে এবং তারা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। নিয়মিতই আমরা আমাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতাম, তাদের সাথে কথা বলতাম এবং তারা এই কাণ্ড পুনরায় শুরু করত।’

শর্মা বলেন, ‘এই ঘটনায়, যখন গুলি আসল, আমাদের লোকজন কৌশলগতভাবে পিছু হঠল। তারপর আমাদের লোকজন বুঝতে পারল, যে আমাদের একজন পিছনে পড়ে গেছে। তারা তা পরীক্ষা করতে পিছনে গেল এবং হেলমেট ও ক্যাপ খুঁজে পেল। এই সময় একজনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায়। তারা পেরিয়ে যেতে পারল না কারণ তখন অপর পক্ষ তাদের কাছাকাছি আসতে খুব অল্প সময় নিয়েছিল।’

‘তারা (পাকিস্তান রেঞ্জার্স) আমাদের লোকজনকে অন্য অংশ খুঁজে দেখতে অনুমতি দিল এবং লাশটি খুঁজে পেল। লাশের পাগুলো বাধা ছিল, বুকে তিনটি গুলির আঘাত ছিল এবং গলায় কাটা দাগ ছিল।’

শর্মা আরও বলেন, ‘ঐ ঘটনা ঘটার পর থেকে কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স এই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেন।’

‘যে মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটেছিল, আমাদের বাহিনী দেখতে পেল যে অপর পাশ উদাও। রেঞ্জার্স তাদের গ্রামগুলোও খালি করে ফেলেছিল।’

অতীতে সব সময় বিএসএফ কঠোর ও উপযুক্ত জবাব দিত উল্লেখ করে শর্মা বলেন, ‘আমরা এই ধরণের ঘটনা আবারও করব। কিন্তু এই ঘটনায় প্রথমে দেহটি উদ্ধার করা এবং অন্য কিছু চিন্তা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিকট ভবিষ্যতে আমরা কিছু না কিছু করব।’

সীমান্তের সাথে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও লঞ্চ পেড ছিল এবং সেখানে কয়েক শত সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল বলে জানান বিএসএফ প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে ভারতে সন্ত্রাসীদের ঠেলে দেওয়াই পাকিস্তানের নীতি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর