গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজপথে নেমে এসেছে আমজনতা।
আর সেই সঙ্গে বেসামরিক জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
চলতি মাসে বিভিন্ন শহর এবং উপশহর থেকে পালিয়ে শত শত নাগরিক প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সীমান্তের দিকে ছুটছেন। থাই সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের জাতিগত মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু এলাকায় এই নাগরিকদের ঢল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত দেশটির বিদ্রোহীগোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, কেএনইউ নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে প্রায় এক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রেফুজিদের আশ্রয় দিতে সবাই প্রস্তুত।
ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকরা।
এখন পর্যন্ত সেই আন্দোলনে সামরিক বাহিনীর গুলিতে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বড় শহর ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে জারি করা হয়েছে মার্শাল ল।
আন্দোলন শুরুর পর থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালাতে শুরু করেছে মিয়ানমারবাসী। ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে নেমেছে ঢল।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে কেএনইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান পাদোহ সাও তাও নি জানান, তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কয়েকশো মিয়ানমার নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে।
তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাসহ, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতাও আছেন।