থাইল্যান্ডে পালালেন মিয়ানমারের তিন হাজার গ্রামবাসী

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-08 20:08:41

মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কারেন রাজ্যের প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। থাই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা থেকে বাঁচতে রোববার (২৮ মার্চ) সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থী হিসেবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে।

শনিবার (২৭ মার্চ) কারেন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন দাবি করে, থাইল্যান্ড সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমারের একটি সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে তারা। তাদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। হামলায় সংগঠনটির একজন সদস্যও নিহত হন।

রোববার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে কারেন নারী অধিকার সংগঠন ‘কারেন ওমেন্স অর্গানাইজেশন’ বলেছে, ওই হামলার জবাবে গতকাল মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে মুতরা জেলায় কারেনদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্তত পাঁচটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। বিমান হামলা হয়েছে বাস্তুচ্যুত লোকজনের স্থানীয় একটি আশ্রয়শিবিরেও।

সংগঠনটি বলেছে, বিমান হামলা থেকে বাঁচতে গ্রামবাসী জঙ্গল ও পাহাড়ে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান। পরে তিন হাজারের মতো মানুষ শরণার্থী হিসেবে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ড চলে যান।

থাইল্যান্ডে প্রায় তিন হাজার মানুষের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছে থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম পিবিএস।

থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি।

বিমান হামলায় কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের অন্তত দুই সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সংগঠন ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্সের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ইউবাঙ্ক। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে আমি এখানে বিমান হামলা দেখিনি। রাতের বেলায় হামলা চালিয়েছেন জান্তা সেনারা।

এদিকে মিয়ানমারের একটি নাগরিক সংগঠন বলেছে, ওই বিমান হামলায় অন্তত তিনজন বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির পাশাপাশি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪০০ জনের কাছাকাছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর