ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘মমতা তার কর্মীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার ট্রেনিং দিচ্ছেন। মমতার উসকানিতেই আজকের প্রাণহানি।’
শনিবার (১০ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ হয়। রাজ্যের কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকায় ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হন। এর আগে এখানেই এক ভোটার প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। নিহত ব্যক্তিকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করে বিজেপি। তারা এ হামলার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে। যদিও তৃণমূল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই চতুর্থ দফা ভোটের সময় শনিবার শিলিগুড়িতে জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি সভায় শীতলকুচির ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উসকানিকে দায়ী করেন। মোদি বলেন, ‘এবার দিদির দল ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না। আর সেজন্য দিদি খেপে গেছেন। দোষারোপ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।’
মোদি প্রশ্ন করেন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দিদি কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দিতে পারেন? কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পেটানোর নিদান দিতে পারেন?’
শিলিগুড়িতে আয়োজিত ওই জনসমাবেশে মোদি বলেন, ‘এবার বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে দিদির সরকারের। বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের সব মানুষই এখন বিজেপির আগামীর সরকারকে আশীর্বাদ করছে। বলছে, এবার তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে। তাইতো আজ বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে আজ পরিবর্তনের হাওয়া, সেই সঙ্গে আগামি ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে উচ্ছাস।’
মোদি মমতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিজেপি দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড়বে না। বিচার করবে। এই বাংলায় হিংসা করে কেউ বাঁচতে পারবে না। এই বাংলার মানুষ বাংলায়ই থাকবেন। বাংলা কারও জায়গিরদারী নয়। সবার সমান অধিকার। আর দুর্নীতিবাজদের, অভিযুক্তদের বাঁচাতে পারবেন না। কারণ বাংলার মানুষ আপনার প্রজা নয়। সেই যুগ এবার শেষ দিদি।’