জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্রে আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির পুলিশ।
মিনিয়াপোলিস শহরের উত্তরে ব্রুকলিন সেন্টারের ট্র্যাফিক সিগন্যালে রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে ২০ বছর বয়সী যুবক ডান্ট রাইটকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ বলে খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ ব্রুকলিন সেন্টারের থানার সামনেরোববার রাত থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
ডান্টের মা কেটি রাইট জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে তার ছেলে ফোন করে বলে, তাকে পুলিশ আটক করছে। পাশ থেকে শোনা যাচ্ছিল এক পুলিশ অফিসার তাকে বার বার ফোনটা রাখতে বলছিলেন। শেষে কেউ একজন ফোনটা কেটে দেন। একটু পরে ডান্টের বান্ধবী কেটিকে ফোন করে জানান, পুলিশ ডান্টেকে গুলি করেছে। ওই বান্ধবীও কিছুটা আহত হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, এক পুলিশ অফিসারের গুলি চালানোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের তরফে গুলিবিদ্ধ যুবকের পরিচয় সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তরফে দাবি করা হয়, ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য এক যুবককে গাড়ি থেকে বের করে আনেন। যুবকের পরিচয় জানার পর পুলিশ অফিসাররা দেখেন তার নামে আগে থেকেই সমন ঝুলে রয়েছে। ওই যুবক ফের গাড়িতে ঢুকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন পাশে থাকা যুবতীও।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মিনিয়াপোলিস এলাকা। হাজার হাজার মানুষ বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাস্তায় চক দিয়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘জাস্টিস ফর ডান্ট রাইট’।
ব্রুকলিনের মেয়র মাইক ইলিয়ট ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে অনুরোধ করেছেন বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে।
ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র শহরব্যাপী রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেন। এবং তিনি বিক্ষোভকারীদের বাড়ি চলে যেতে বলেন।
মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এবং তিনি রাইটের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেন।