জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা রাজকুমারী লতিফার মুক্তির দাবী জানিয়েছে। এবং রাজকুমারী বেঁচে আছে কি না তার প্রমাণ চেয়েছে ।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। এ খবর দিয়েছে, সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
দুবাই শাসকের এই নিখোঁজ কন্যাকে সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর দেখা যায়নি রাজকুমারীকে। তাই জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা রাজকুমারী লতিফার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, আমিরাতের কর্তৃপক্ষ রাজকুমারী লতিফাকে বাসায় যত্নে রেখেছে। প্রিন্স লতিফা পরিবার ও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে আছেন এবং ভালো আছেন।
জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্তা হুরতাদো বলেন, আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। লফিতার বর্তমান অবস্থা নিয়েও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা আসেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তার জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ পাইনি। আমরা এমন একটি প্রমাণ চাই, যাতে তিনি বেঁচে আছেন বলে স্পষ্ট প্রমাণ থাকবে। আমাদের প্রথম উদ্বেগ হলো, রাজকন্যা লফিতা জীবিত আছেন—তা নিশ্চিত হওয়া।
উল্লেখ্য, পরিবারের নির্যাতনের কারণে ২০১৮ সালে সাগর পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন লতিফা। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে তিনি ধরা পড়ে যান। ওই ঘটনা সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।