নারদা কেলেঙ্কারি মামলা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এবার মামলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যুক্ত করেছে সিবিআই। মমতা ছাড়াও এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।
বুধবার (১৯ মে) এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মামলাটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের অন্য কোনো রাজ্যে স্থানান্তর করার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে সিবিআই।
হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, সোমবার পরিকল্পিতভাবে সিবিআই অফিস ঘেরাও করা হয়। সিবিআই অফিসে ৬ ঘণ্টা ধর্ণা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে এসে চিৎকার করে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন, এমনকি নইলে তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানান।
সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সেদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেওয়া হয়। এই সমস্ত ঘটনা আদালতের সামনে তুলে ধরেই সিবিআই মামলা অন্যরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিবেদন দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এরাজ্যে মামলা চললে তাদের কাজ বাধা প্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়বে।
নারদকাণ্ডে চার নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতার নিয়ে সোমবার গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে যায় । এই খবর শুনে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। গ্রেফতারের কারণ জানতে চেয়ে কথাও বলেন সিবিআইয়ের সঙ্গে। এমনকি এভাবে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাহলে আমাকেও গ্রেফতার করুন। নইলে সিবিআই দফতর ছাড়ব না।
২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতা–মন্ত্রীদের ঘুষ নেওয়ার একটি কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালের মার্চে এই নারদা কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সেই মামলায় আসামি করা হয় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন চার মন্ত্রীসহ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে।