গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্বে নতুন রেকর্ড

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 12:35:55

গত বছর বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্বে নতুন রেকর্ড হয়েছে। যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নাগালের মধ্যে রাখতে পারেনি বিশ্ব। সোমবার জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা-ডব্লিউএমওর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আগামী রোববার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জলবায়ু বৈঠকে বিপজ্জনক স্তরের উষ্ণতা এড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা প্রতি ১০ লাখে ৪১৩ অংশে বেড়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর বিশ্বজুড়ে লকডাউনের সময় সাময়িকভাবে নিঃসরণ কমলেও, বিগত এক দশকে গড় তাপমাত্রার তুলনায় গত এক বছরের তাপমাত্রা বেশি ছিল।

ডব্লিউএমও মহাসচিব পেতেরি তালাস বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের বর্তমান হারের ফলে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সীমার চেয়েও তাপমাত্রা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। ওই চুক্তিতে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল।

পেতেরি তালাস বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য থেকে এখনো অনেক দূরে। আমাদের শিল্প, জ্বালানি এবং পরিবহন ব্যবস্থা এবং পুরো জীবনযাত্রার পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’ এ ছাড়া রোববার শুরু হতে যাওয়া ‘কপ২৬’ সম্মেলনকে সামনে রেখে এটিকে ‘নাটকীয় বৃদ্ধি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমাবদ্ধ রাখতে বিশ্বের শেষ সুযোগ হতে পারে এটি।

এদিকে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটা খুবই কঠিন সম্মেলন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই চিন্তিত কারণ এটা আমার ভুলও হতে পারে যে, শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হয়তো চুক্তিটি নাও হতে পারে।’

এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক সমস্যা রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো-বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক জীবিকার ওপর প্রভাব এবং বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা।

এর আগে গত শনিবার সৌদি আরবের যুবরাজ বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো ২০৬০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে চায়। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমন হ্রাসের পরিকল্পনা দ্বিগুণ হবে।

কানাডার অটোয়ায় প্রকাশিত এক সরকারি পরিকল্পনায় জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার সহায়তা করতে পারবে বলে আশাবাদী উন্নত দেশগুলো।

এই লক্ষ্যে কীভাবে পৌঁছানো যায় তার একটি যৌথ পরিকল্পনা করেছে কানাডা এবং জার্মানি। সেখানে বলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলোর এখনো অনেক কিছু করার আছে। তাদের অভিযোগ ব্যক্তিগত অর্থায়ন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর