আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস আজ শুক্রবার। বিশ্বব্যাপী পুরুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এই বিশেষ দিন উদযাপন শুরু হয়।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেনসহ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে এই দিবস পালন করা হয়। তবে বাংলাদেশে দিবসটির পরিসর কম। পুরুষ দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’ আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।
পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এই দিবস পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’। এই দিন পালন করা হতো মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবস পালন করা হতো।
৯০-এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, তবে সেগুলোয় অংশগ্রহণ ছিল খুব কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর সারা বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই দিবসের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে- পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি; নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা; নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সাম্যতার প্রচার; পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা; পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী; পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদ্যাপন; সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও বালকদের অবদানকে তুলে ধরা।