ইউক্রেনে দ্রুত হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তাই সর্তকতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা। একই সঙ্গে ইউক্রেনের বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই দেশের নাগরিকদের সফর না করার উপদেশ দিয়েছে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস। রয়টার্স এর করা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
বিগত কয়েকমাস ধরেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সম্প্রতি, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক গোষ্ঠীতে কিয়ভের যোগ দেওয়ার কথা শোনা যাওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে দ্রুত সেনা মোতায়ন করেছে মস্কো। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি থেকে পাওয়া যাচ্ছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত!
এই পরিস্থিতিতে কিয়ভের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন ও কানাডা। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে এরই মধ্যে ইউক্রেন হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন সেনাকে সাহায্য করতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা।
রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রুশ সেনা হামলার আশঙ্কায় কিয়ভের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে, শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরী কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাই সেখানে থাকবেন।
এদিকে দূতাবাস থেকে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার পাশাপাশি ইউক্রেন ও রাশিয়ার নাগরিকদের ভ্রমণ না করার সর্তকর্বাতাও দিয়েছে আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় দেশটিতে উত্তেজনা ও অশান্তি দেখা দিতে পারে। সেজন্য ইউক্রেনে সফররত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
এর আগে ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রনেকে অর্ন্তভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। না হলে সামরিক পদক্ষপে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পৌঁছেছে ৩০ জনের ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী।
এই সাথে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হাতিয়ার ও পাঠিয়েছে লন্ডন, এবং ভবিষ্যতে আরও হাতিয়ার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।