ফেব্রুয়ারিতেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সতর্কবার্তা ঘোষনার পর পরই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানালেন, রাশিয়া কোন যুদ্ধ চায় না।
শুক্রবার সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, ক্রেমলিন কিয়েভের সাথে কোনরকম সংঘাতের ইচ্ছা রাশিয়ার নেই, তবে নিজেদের ভৌগলিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে রাশিয়া কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘মস্কো আশা করে- যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাশ্চাত্য মিত্ররা রাশিয়ার প্রকৃত অবস্থান উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।’
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগের দিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিপেন্ট জো বাইডেন। এসময় জেলেনস্কিকে বাইডেন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ‘সুনিশ্চিত’ বা ‘অতিস্পষ্ট সম্ভাবনা’ আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সীমান্তে হাজার হাজার রুশ সৈন্য মোতায়েনকে ঘিরে দেশটিতে আক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে আরও আক্রমণ করলে চূড়ান্ত জবাব দিতে মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতির বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন।
এদিকে ইউক্রেন সংকট নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি উন্মুক্ত বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান ও আচরণ নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।