সময় যত যাচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার পারদ ততই বাড়ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে মস্কো। যেখানে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে রাশিয়া। যৌথ মহড়াকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত বেলারুশে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় মোতায়েন বলছে ন্যাটো।
বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেন বলেছে তারা মানসিক চাপে আছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সতর্ক করে বলছে, রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারে। তবে, রাশিয়া বারবার ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
বেলারুশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দৃঢ় মিত্র।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র যৌথ মহড়াকে গুরুতর বলে বর্ণনা করে বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির চিঝভ বলেছেন, রাশিয়া এখনও মনে করে ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে কূটনীতি সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে বেলারুশে অবস্থানরত রুশ সেনারা অনুশীলন শেষে তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।
এদিকে মহড়া উপলক্ষে গত একমাস ধরেই বেলারুশে সেনা, সামরিক সরঞ্জাম মোতয়েন করেছে মস্কো। এরমধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। রাশিয়ার এমন তৎপরতা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যৌথ সামরিক মহড়া পূর্ব ইউরোপের উত্তেজনাকে আরও উসকে দেবে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে হোইয়াট হাউজ।