খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ মালয়েশিয়া হাইকোর্টের

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 01:21:40

বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমানের দায়ের করা রিট (হেবিয়াস কর্পাস) আবেদনের শুনানিকালে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এ আদেশ দেন।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

হেবিয়াস কর্পাস হল এমন একটি রিট যা একজন ব্যক্তিকে বিচারক বা আদালতের সামনে হাজির করা প্রয়োজন যাতে তাকে বেআইনি কারাবাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসাবে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণের তদন্তের জন্য।

খায়রুজ্জামানকে নিজ দেশে পাঠানোর স্থগিতাদেশের আবেদন মঞ্জুর করতে গিয়ে বিচারপতি বলেছেন, আমি শুনতে চাই না যে আদালতের আদেশ বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খায়রুজ্জামানের হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের শুনানির জন্য আদালত ২০ মে দিন ধার্য করেছেন।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান বলেন, তিনি আদালতের এই আদেশে সন্তুষ্ট। তবে, তিনি বলেন, আমি জানতে চাই আমার স্বামী কোথায় আছেন এবং সম্ভব হলে তার সাথে দেখা করতে চাই।

এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠালে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (৬৫) ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন।

তিনি জেল হত্যা ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল।

২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন খায়রুজ্জামান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেয় এবং তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে।

পরে তিনি গ্রেফতারের ভয়ে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কাছে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় থাকার একটি পরিচয়পত্র পান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর