ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দেশটির সরকারি সেনাদের চলছে গোলাগুলি। এর মধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধপ্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেন ত্রিপক্ষীয় কন্টাক্ট গ্রুপের (টিসিজি) মধ্যে শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করে। যেখানে তিনটি পক্ষ হলো ইউক্রেন, রাশিয়া এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা (ওএসসিই)।
ত্রিপক্ষীয় কন্টাক্ট গ্রুপটি প্রাথমিকভাবে কৌশলগত এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা শান্তি প্রক্রিয়া জোরদার করার পক্ষে।
এদিকে, উত্তেজনার মধ্যে সামরিক মহড়ার মেয়াদ বাড়িয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশ। ইউক্রেনের উত্তরে চলমান এই মহড়া রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, চলমান মহড়ার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়া প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের আশঙ্কা, যেকোনও ইউক্রেন দখলে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। বেলারুশের সঙ্গে সামরিক মহড়ার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে ইউক্রেনের ওপর চাপ আরও বাড়বে।
রুশপন্থী বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকেই পূবের লুহানস্ক ও ডোনেস্ক দখল করে আছে। এর আগে, স্বঘোষিত ডোনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া ঘোষণায় বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া মানুষদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। নারী, শিশু এবং বয়স্করা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানান তিনি।