ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের কথা বলা হলেও তাতে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে ক্রেমলিন।
যুক্তরাজ্য দাবি করেছে, ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যে পরিকল্পনা তা ইতিমধ্যে কার্যকর শুরু হয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপে যুদ্ধ ঠেকাতে এখনও কূটনীতির পথ খোলা রয়েছে।
এর আগে সোমবার, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে ব্রাসেলসে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো মিত্ররা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, আমরা যে গোয়েন্দা তথ্য দেখছি তা থেকে বোঝা যায় রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করতে চায় এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার সামরিক কার্যক্রমগুলো দেখছি। তাতে বুঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি বুঝে তারা যুদ্ধ শুরু করবে। আমরাও ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছি। সময়মতো সবাইকে ডাকা হবে।
উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়া দেড় লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। যা অস্বীকার করছে মস্কো।
ইউক্রেন যাতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত না হয়; তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক মহড়ার সময় আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর উত্তেজনাও বেড়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পুতিন ও বাইডেনের মধ্যে যে কোনো সময় ফোনালাপ হতে পারে। কিন্তু একটি সম্মেলন আয়োজনের বাস্তবিক কোনো পরিকল্পনা নেই।