পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্ন দুইটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দেন।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলির সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়ার জনগণ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে।
মস্কো জানিয়েছে, পুতিন জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের ফোনকলে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে ডিক্রিতে সই করে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ভাষণ দেন।
এর আগে নিজের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুতিন জানান, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো সহকর্মীদের মতামত নেওয়া এবং সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের নেতারা রাশিয়ার কাছে তাদের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতির যে আহ্বান জানিয়েছে সেটিও এই বৈঠকের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার পক্ষ থেকেও এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন দেড় ঘণ্টা ধরে রাশিয়ার নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইউক্রেন সংকট ও দনেৎসক এবং লুহানস্ক স্বীকৃতির ব্যাপারে আলোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় মতামত নেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ডনবাসের দুইটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। সেখানে নিজস্ব শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই বিদ্রোহীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বেসামরিক বাসিন্দাদের রাশিয়ায় সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ঘোষণা দিয়েছে সেনা সমাবেশের। মস্কোর দাবি, ওই ঘোষণার পর থেকেই লোকজন শরণার্থী হিসেবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।
সোমবার রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক ছেড়ে গেছে ৬০ হাজার ‘শরণার্থী’।
ডনবাস থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয়, খাবার ও নগদ ১০ হাজার রুবল করে দিতে রুশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্বঘোষিত দোনেৎস্ক রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া মানুষদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।