ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা বাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই।
তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
বিবিসির কিয়েভ সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউস বলেছেন, ইউক্রেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের বিস্তৃতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আজ সকালে কিয়েভে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, সেইসাথে দেশের দক্ষিণে ওডেসাতে রুশ সৈন্য প্রবেশ করেছে। রাশিয়ান সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে খারকিভেও রুশ সৈন্য প্রবেশ করেছে।
ওয়াটারহাউস বলেছে, প্রত্যক্ষদর্শী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মতে যে সব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাতে বড় ধরনের যুদ্ধ হবে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় মিডিয়ার একাধিক প্রতিবেদনও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড সেন্টার এবং কিয়েভের সামরিক সদর দফতরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলার কথা অস্বীকার করেছে দেশটি। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বার্তাসংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, কোনো ইউক্রেনীয় শহরে হামলা চালানো হচ্ছে না। নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম অত্যাধুনিক সব অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমান বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারি করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কাউন্সিল একটি জরুরি বৈঠক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।