রুশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য. যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ২৮টি দেশ।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে দাতা সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
ওই সম্মেলনে ২৮টি দেশ ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করার জন্য অস্ত্র, চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্যান্য সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়।
স্কাই নিউজের খবরে আরও বলা হয়, যেসব দেশ আগে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য অস্ত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে ছিল, তারা এখন দেশটিতে সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা ন্যাটো জোটের অংশ নয়।
এদিকে, ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ন্যাটো জোটের অংশ হিসেবে ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোমানিয়ায় ৫০০ সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার ফ্রান্সের সেনাপ্রধান থিয়েরে বুরখারদ দেশটির সংবাদমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, কৌশলগত সার্বভৌমত্বের বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রোমানিয়ায় অবস্থানরত সৈন্যের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। আমরা প্রায় ৫০০ সৈন্য ও সশস্ত্র যানবাহন সেখানে পাঠাব।
আগ্রসনের তৃতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের ভ্যাসিলকিভ এলাকায় তীব্র লড়াই চলছে।
রাজধানীর পথে পথে এখন সক্রিয় যুদ্ধ চলছে। এর আগে কিয়েভ সরকারও এক বিবৃতিতে কিয়েভে লড়াইয়ের খবর নিশ্চিত করে। বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানালা কিংবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে না থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপদেষ্টা বলেন, মারিউপোল, খেরসন, মাইকোলাইভ এবং ওডেসা শহরেও সংঘর্ষ চলছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি শহর দখল করেছে, তবে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী জেমস হেপ্পি স্কাই নিউজকে বলেছেন, এটি এখনও ইউক্রেনের হাতে।