আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগ্রাসনে জড়িত ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনাকে হত্যা ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দী করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত রাশিয়া ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার ও ১০২টি ট্যাংক হারিয়েছে। তবে এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
রাশিয়া এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের কথা স্বীকার করেনি।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার ফলে এখন পর্যন্ত ২৫ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে এবং ইউক্রেনের এক লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের ধারণা, যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত হলে পালিয়ে আসাদের সংখ্যা বেড়ে ৪ মিলিয়ন হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। আজ ভোর থেকেই কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণ ও উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক বিস্ফোরণ ও ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
আজ সকালে কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে এখনও স্পষ্ট নয়।
কিয়েভের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সেনা ঘাঁটিতে হামলা প্রতিহতের কথা জানায়।