সংকট নিরসনে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন জুড়ে রুশ সৈন্যদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর লড়াই চলছে। লড়াই বন্ধে এই আলোচনার মধ্যে যুদ্ধবিরতির চাপ দিতে চায় কিয়েভ।
বেলারুশে বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তার পারমাণবিক বাহিনীকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে পশ্চিমাদেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষ আরো বৃদ্ধি পায়। তারা এই ঘোষণার পরপরেই ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে পঙ্গু করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সকল ধরনের আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসা বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে পুতিনের সহযোগীদের সম্পদও জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রাশিয়া জুড়ে দেখা গেছে। এমনকি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রুবলের মানে পতন এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সুদের হার দ্বিগুণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ব্যাংক অব রাশিয়া রিজার্ভ রক্ষার জন্য সুদহার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়েছে ২০ শতাংশ করেছে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগ দিয়ে সুইজারল্যান্ডও ইউক্রেন ও রাশিয়ার ইস্যুতে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। দেশটির তার চিরাচরিত নিরপেক্ষ ভূমিকা থেকে বের হয়ে রাশিয়ার ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করেছে। সেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।