পশ্চিমাদেশসহ বিভিন্ন দেশের রাশিয়ার ওপর জ্বালানি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েই চলেছে। সংকট চলতে থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে তেলের দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যারেলপ্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার ছাড়াবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (৪ মার্চ) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম বেড়েছে ব্যারেলপ্রতি ৭ দশমিক ৬৫ ডলার। দিন শেষে এর দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ দশমিক ১১ ডলার, যা ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৮ দশমিক ০১ ডলার বা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে স্থির হয় প্রতি ব্যারেল ১১৫ দশমিক ৬৮ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর মাত্র এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ব্রেন্টের দাম বেড়েছে অন্তত ২১ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে পুরো ২৬ শতাংশ। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো একজোট হয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করায় বিশ্ব অর্থনীতিতে এই সংকট দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত রুশ তেল-গ্যাসের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সেই পথেই যাচ্ছে।
সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক রাশিয়া। তারা দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে। ফলে মস্কোর ওপর জ্বালানি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম উঠেছিল ১৪৭ দশমিক ২৭ ডলার। আজ পর্যন্ত এটিই তেলের দামের সর্বোচ্চ রেকর্ড।