আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় চীন। রাশিয়া ইউক্রেন দুই দেশই চীনের বন্ধু।
রোববার ( ১৩ মার্চ) বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং 'বসন্তে চীনের সঙ্গে সংলাপ' অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। চীনের দূতাবাস এ সংলাপের আয়োজন করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি দেশই চীনের বন্ধু দেশ। বর্তমানে একমাত্র কাজ হলো টেনশন সমাপ্ত করা, মানবাধিকার সংকট থেকে রক্ষা করা দরকার। তৃতীয় হলো এটি তদন্ত করা দেখা যুদ্ধ কেন শুরু হল। এটির ঐতিহাসিক কি কারণ থাকতে পারে।
আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সমর্থন করছি না। আমরা বলছি, আসুন বসুন। এক কাপ চা খান। আলোচনা করে এ সংকটের সমাপ্ত করুন। এই সংকট আলোচনা করে শেষ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘে ইউক্রেন নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার উত্তরে বলেছে তারা সারা বিশ্বে শান্তি চায়। তাইওয়ান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পানির মত পরিষ্কার করে বলতে চাই, তাইওয়ান ইস্যু চীনের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক চীন নীতি গোটা বিশ্ব মেনে চলে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮ দশমিক ৮, তার আগের বছর ছিল ২ দশমিক ২। তাই এখন কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা কাজ করতে চীন প্রস্তুত নয়।
ইন্দোপ্যাসিফিক করিডোর আইপিএস, কোয়াডসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ চীন বিরোধী। এসব কৌশলে নিয়ে বাংলাদেশ বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদী চীনা রাষ্ট্রদূতের।
রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর বলেন, আমরা এ নিয়ে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশই চীনের ভালো বন্ধু। কিছু উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু ঘটেনি। তবে চেষ্টা চলছে, কীভাবে রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়।
তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, চীনের উইঘুরে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা পশ্চিমাদের অপপ্রচার, জাতিসংঘ তদন্ত মিশনের সফরের উদ্যোগকে স্বাগত জানায় চীন।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ সম্পর্কে বলেন, সম্প্রতিকালে চীনের বিনিয়োগ ৩শ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক উন্নয়ন করেছে। শুধু গার্মেন্টস নয় আরো অনেক পন্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ বাড়ে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত মনে করেন।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মিলিটারি বেইজ বা সামরিক কোনো সরাঞ্জম তৈরির কাজ করে না চীন।
জাপানি সংবাদ মাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত খবর 'বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন' - এরকম খবর খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাব।