ইরাক সহিংসতায় জড়িত ইসলামিক স্টেট বা আইএস সদস্যদের ১২ জন বিদেশী স্ত্রীকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাগদাদের একটি আদালত রবিবার এ রায় দেয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে তুরস্কের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত এসব নারী ইরাকে হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাটে জড়িত থাকা আইএস সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।
সাজাপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে একজন আজারবাইজানের নাগরিক এবং বাকিরা তুর্কি নাগরিক। এসব নারীর বয়স ২০ থেকে ৫০ বছর এবং তারা সবাই ইরাকের মসুল ও তাল আফার শহরের কারাগারে বন্দী রয়েছে। এসব নারীর স্বামীরা ইরাকের সামরিক অভিযানের সময় নিহত হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪৮ বয়সী ওই নারী রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তার স্বামী তুরস্কে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তি ছিল বলে তারা তুরস্ক ছেড়ে ইরাকে চলে আসে এবং ইসলামি শরীয়তের আইন বলবৎ আছে এমন জায়গায় বসবাস করেতে চেয়েছিল। কিন্তু ইরাকে আসার কারণে পরে তারা অনুতপ্ত হয় এবং তার স্বামী ও দুই ছেলে বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত নারীদেরকে ইরাকের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনের চতুর্থ ধারা অনুসারে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আইনের এ ধারায় বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদে নিজে জড়িত থাকে, পরিকল্পনা করে, অর্থ দেয় অথবা অন্য কোনোভাবে সহায়তা করে তাহলে এর যেকোনো তৎপরতাকে বেআইনী কার্যকলাপ বলে গণ্য করা হবে এবং কেউ অবৈধভাবে ইরাকে প্রবেশ করলে তাও অপরাধ বলে সাব্যস্ত হবে।”