মাঙ্কিপক্সের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 18:51:24

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে পরিত্রাণের আগে আশঙ্কা জাগিয়ে তোলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আরেকটি ভাইরাস। নাম তার মাঙ্কিপক্স। যুক্তরাজ্যসহ ১১টি দেশে ৮০ জনের দেহে তা ছড়িয়েছে, যে সংক্রমণের কথা তাদের ভাবনায়ও আসেনি।

এই ভাইরাসের বিচরণ মধ্য আর পশ্চিম আফ্রিকায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টি বনে (রেইন ফরেস্ট) থাকে সেসব প্রাণী, যাদের সঙ্গে আছে সেই ভাইরাস। তবে আফ্রিকার বাইরেও আছে এর বিস্তার। মানুষের সঙ্গে চলে আসে অন্য বসতিতে।

আফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬টি দেশে। এসব দেশের রোগীর সংখ্যা একশ’র বেশি।

তবে আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে এখনো মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি সেই সব দেশের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কারখভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘মানুষ থেকে মানুষে যাতে এই ভাইরাস না ছড়ায়, এটা আমরা চাই। যেসব দেশে এই ভাইরাস এখনো ছড়ায়নি সেসব দেশে আমরা এমন পদক্ষেপ নিতে পারি।’

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গের মধ্যে আছে জ্বর, তীব্র মাথা ধরা, পেশি শুল, ব্যাক পেইন, শরীরে বল–শক্তি কম, গ্লান্ড ফোলা, ত্বকে ফুসকুড়ি (র‍্যাশ)। জ্বর হওয়ার ১ থেকে ৩ দিন পর ফুসকুড়ি, চ্যাপ্টা ক্ষত, ভেতরে হলুদ তরল পরে শুকায়, মামড়ি হয় আর খসে পড়ে। মুখে, হাতের তেলো আর পায়ের নিচে হয় ফুসকুড়ি। চোখে বা যৌনাঙ্গেও হতে পারে।

উপসর্গ থাকে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ। এর পরে চলে যায় এমনিতেই, চিকিৎসা লাগে না। এর গুরুতর পরিণতি বিরল। শিশু, যাদের দেহ প্রতিরোধ দুর্বল, তাদের হতে পারে কখনো জটিল। ত্বক সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, হতবুদ্ধি, চোখের অসুখ, দৃষ্টি সমস্যা।

যাদের মাঙ্কিপক্স, তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে হতে পারে অন্যের। ফুসকুড়ি, দেহ তরল, ত্বক ক্ষত থেকে তরল, পুঁজ, রক্ত মামড়ি খুব সংক্রামক। সংক্রমিত ব্যক্তির পোশাক–পরিচ্ছদ, তোয়ালে—এসব সংক্রামক। মুখের আলসার ক্ষত, ঘা হতে পারে সংক্রামক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর