গুজব উঠেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গুরুতর অসুস্থ। বলা হচ্ছে, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তবে এ বার রুশ প্রেসিডেন্টর্কে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। বিদেশ সফর চলাকালীন পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করে মস্কোয় নিয়ে আসেন তার দেহরক্ষীরা, এমনই এক তথ্য প্রকাশ্য করেছে ফরাসি নিউজ ম্যাগাজিন ‘প্যারিস ম্যাচ’।
কারণ তিনি ভয়ে থাকেন যে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যাতে কোনও তথ্য কারও হাতে না যায়। আর সে কারণেই বিদেশ সফরের সময় রুশ প্রেসিডেন্টের মলমূত্র সংগ্রহ করে মস্কোয় ফেরত নিয়ে আসেন তাঁর দেহরক্ষীরা। মূলত, পুতিনের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্যই এই ‘কাণ্ড’ করেন দেহরক্ষীরা।
ফ্রান্সের ওই সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহের দায়িত্বে থাকে রাশিয়ার ফেডারেল গার্ড সার্ভিস। তারাই একটি স্যুটকেসে করে রুশ প্রেসিডেন্টের মলমূত্র সংগ্রহ করে মস্কোয় পাঠায়। রাশিয়া সংক্রান্ত দুটি বইয়ের লেখক রেজিস জেন্টে ও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়াকে নিয়ে চর্চা করা মিখাইল রুবিনের সঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যম কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, ২০১৭ সালের ২৯ মে ফ্রান্স সফর ও ২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌদি আরব সফরের সময় পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
রাশিয়ার মসনদে বসার পর থেকেই না কি এই ‘পদ্ধতি’ অবলম্বন করছেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পর পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা দানা বেঁধেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ‘গুরুতর অসুস্থ’ বলে দাবিও করেছেন অনেকে। এই প্রেক্ষাপটে পুতিন সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ্যে এল, তাতে এই পর্বে নয়া মোড় আনল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে পুতিনের অসুস্থতার গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সুস্থ। তিনি প্রতিদিনই জনসমক্ষে আসছেন। বক্তৃতা দিচ্ছেন, সেই বক্তৃতা আপনারও শুনছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি না বুদ্ধিমান লোকেরা পুতিনের মধ্যে কোনও ধরণের রোগের লক্ষণ বুঝতে পারছেন। আগামী অক্টোবরে ৭০ বছরে পা দিতে যাচ্ছেন পুতিন।